
শেরপুর প্রতিনিধি : “মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করুন, অধিক ফলন ঘরে তুলুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৃত্তিকা মানব সম্পদ উন্নয়ন ইনিস্টিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার, জামালপুর এর তত্বাবধানে এমএসটিএল ব্রম্মপুত্রের আয়োজনে শেরপুরে প্রস্তুতকৃত সার সুপারিশ কার্ড বিতরণ ও সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭মে) সকালে শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্চলিক গবেষণার এসআরডিআই জামালপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
কৃষিবিদ মো. মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এসআরডিআই জামালপুরের
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আ.খ.ম মুর্শেদুর রহমান।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে টিম ব্রম্মপুত্রের সদস্য মো. রবিউল ইসলাম, মো. সানাউল্লাহ সরকার, স্থানীয় কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও উপকারভোগী ৫২জন কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও মুখ্য আলোচক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষকদের দোরগোড়ায় মৃত্তিকার সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্যই এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাটি পরীক্ষা করে সার দিলে ফসলের ফলন ২০-২৫ ভাগ বাড়বে। সারের অপচয় কমবে। ফলে উৎপাদন খরচও কম হবে। সর্বেপরি মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং মাটি ও পানির দুষণ রোধ করা করা যাবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বাজারে প্রাপ্ত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস সারগুলো বেশী ভাগই ভেজাল। ফলে এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভেজাল সার সনাক্তকরণ সহজ হবে। এতে ঘরে বসেই পানিতে সার সমূহ দ্রবীভূত করার মাধ্যমে বুঝতে পারবে সার সমূহ ভেজাল না আসল।
আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণ শেষে এমএসটিএল ব্রম্মপুত্রের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত ৫২টি সার সুপারিশ কার্ড কৃষকদের মাঝে প্রদান করেন অতিথিগণ।